• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Coal Scam

রাজ্য

রুজিরাকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ, আগামী সপ্তাহে তলব অভিষেককে

সাড়ে চার ঘন্টা পর সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে। কয়লা পাচার মামলায় ইডি তলব করেছিল অভিষেক-জায়াকে। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি প্রবেশ করেন সিজিওতে। দিল্লি থেকে আসা ইডি অফিসাররা রুজিরাকে প্রশ্ন করেছেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রুজিরাকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশেই রুজিরাকে কলকাতার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছিল ইডিকে।বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলব না। ও (রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভালো মেয়ে, নিরাপরাধ মেয়ে, সৎ মেয়ে, প্রাপ্ত বয়স্কা। শুধু বলব ইডি বাঘ নাকি? ইডি দেশের জনগণের সেবার জন্য, বিজেপির সেবা করার জন্য নয়।এরপরই এদিন বিকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। আগামী মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রসঙ্গত, ওইদিনই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের।আজ, বৃহস্পতিবারই ইডির নোটিস, মঙ্গলবার অভিষেককে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি । কুন্তলের চিঠি ছাড়াও একাধিক তথ্যকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চায় ইডি। গত ২০ মে কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।সমন পাওয়ার পর অভিষেক জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পর ইডি তলব করলে তিনি যাবেন। এখন ১০-১২ ঘন্টা সময় নষ্ট করতে পারবেন না।

জুন ০৯, ২০২৩
রাজ্য

কয়লা পাচার কাণ্ডে দিনভর সিবিআইয়ের তল্লাশি, দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ মলয় ঘটককে

কয়লা পাচার তদন্তে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। আইনমন্ত্রীর আসানসোল ও কলকাতার বাড়ি, সরকারি আবাসনে হানা দেয় সিবিআই। ডালহৌসির সরকারি আবাসনে গিয়ে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিআই আধিকারিকরা। মলয় ঘটকের দাবি, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁর তিনটি স্মার্ট ফোন সেট নিয়ে গিয়েছে। সিমগুলি অবশ্য নেয়নি।বুধবার কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রায় আট ঘন্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিকেলে সরকারি আবাসন থেকে বেরিয়ে প্রথমে মলয় ঘটক জানিয়ে দেন বিচারাধীন বিষয় তাই মুখ খুলবেন না। কিন্তু, সন্ধ্যার সরকারি আবাসনেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী।মন্ত্রীর দাবি, তাঁকে বদনাম করতেই সিবিআই এত তল্লাশি চালাচ্ছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন মলয়বাবু। তাঁর বক্তব্য, আসানসোল পুরভোট, লোকসভার উপনির্বাচন বা রাজ্যব্যাপী পুরভোটের সময় আমাকে সিবিআই, ইডি তলব করেছে। আমি ব্যাস্ত থাকায় জানিয়েছিলাম পরে যাব। ইমেলে তারিখ জানতে চাইলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে কিছু জানানো হয়নি।তবে মলয় ঘটক জানিয়েছেন, তদন্ত সাহায্য করা আমার কর্তব্য। তবে সময় সুযোগ বুঝে ডাকলে যাব। তাঁর চ্যালেঞ্জ, আসানসোলের বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা ছাড়া কেউ বলুক যে আমি কয়লা পাচারে জড়িত, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এর আগে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন তদন্তে সহযোগিতা করবেন। যদিও সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এদিকে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে দুর্গাপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
রাজনীতি

'গণপতি বাপ্পাকে সামনে রেখে এরকম চোর ডাকাতদের সম্বন্ধে বলা উচিত না' অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ইডির তলব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, আমি রাজনীতির কথা বলবো না গণপতি বাপ্পাকে সামনে রেখে এরকম চোর ডাকাতদের সম্বন্ধে বলা উচিত না। অন্য জায়গায় বলবো জায়গাটাকে অপবিত্র করবেন এইরকম গরু চোর গরুকে আমরা মাতা বলি আর এরা গরু পাচার করে।পানিহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের জামিন নিয়ে বলেন, আমাদের সহানুভূতি আছে আমি যে বিধানসভায় সাসপেন্ড হয়েছিলাম পানিহাটি ঝালদা রামপুরহাটের বাগটুই এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে উনি আমাদের দলের কাউন্সিলর ছিলেন না কিন্তু আমাদের সহানুভূতি ছিল আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম প্রথম দিন তার পরিবারের তরফ থেকে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয় কিন্তু পরবর্তীকালে শাসক দলের লোকেরা ওনাকে বুঝিয়ে বলেন এই সরকারের পুলিশ সিআইডি থেকে বিচার পাবেন সাময়িকভাবে ভুল বুঝিয়ে আজকে খুনিদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে ওনার স্ত্রী এবং বাড়ির লোককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সিআইডি তদন্তের উপর আস্থা রাখবেন না উচ্চ আদালতে যাবেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে।অনুপম দত্তের স্ত্রী আত্মহত্যা করতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি জানি খুব খুব বেদনাদায়ক ঘটনা গণপতি বাবার কাছে ওনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করব এবং মানসিক দৃঢ়তা বাড়ুক তিনি যে ধরনের আইনি সাহায্য বা লিডার অপজিশন হিসেবে যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপি ছাড়া আর কোন দলের এমএলএ নেই তাই এই সরকারের দ্বারা এখানকার গুন্ডাদের দ্বারা যেই পীড়িত হবে যে দলেরই যারা সরকার বিরোধী তাদের পাশে দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত বিরোধী দলনেতা তাদের পাশে থাকবে।মিনাক্ষী দত্ত মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিল কিন্তু পাইনি, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এগুলো বলতে পারব না। আমি শুধু বলবো এই রাস্তাটা তাড়াতাড়ি সারানোর ব্যবস্থা করতে।

আগস্ট ৩১, ২০২২
দেশ

কয়লা পাচারকাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য গ্রেফতারি পরোয়না

জামিন যোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে এই পরোয়না জারি করেছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ করা হলেও হাজির হচ্ছেন না। ২০ অগাস্টের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডি সূত্রে খবর, বারংবার নোটিশ করা সত্বেও হাজির হচ্ছিলেন না অভিষেক পত্নী। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।এদিকে আদালতে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়ালে জানান, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন, তবে এখনও শুনানি হয়নি। পাল্টা ইডির তরফে বলা হয়, আবেদন করা হয়েছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়নি। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী ও ইডির তরফে সওয়াল জবাবের পর অভিষেকপন্ত্রীর নামে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।

মে ০৭, ২০২২
রাজ্য

কয়লাকাণ্ডঃ অভিষেকপত্নী রুজিরা ও শ্যালিকাকে তলব ইডির

কয়লাকাণ্ডে অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামিকাল সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রুজিরাকে। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একই সময়ে হাজির হতে বলা হয়েছে মেনকাকে। এর আগেও রুজিরাকে তলব করেছিল ইডি। তখন দেখা করেননি রুজিরা। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল। এদিন তিনি হাজির হতে পারেননি। সময় চেয়েছেন।ইডি সূত্রের খবর, মূলত বিদেশে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রুজিরা ও মেনকাকে। বিদেশের সেই ব্যাংক থেকেও তথ্য় মিলেছে ইডির। সেই তথ্য় যাচাই করতে চায় ইডি আধিকারিকরা। এদিকে এদিনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো নিয়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এবিষয়ে এক জোট হতে আবেদন জানিয়েছেন মমতা। এর আগে কয়লাকাণ্ডে তলব করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে। যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রকে খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

মার্চ ২৯, ২০২২
দেশ

ইডি-সিবিআইয়ের কাছে মাথা নোয়াতে রাজি নই, সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা শেষে হুংকার অভিষেকের

সকাল ১১ টায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে প্রবেশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে অভিষেক সাফ জানালেন, তিনি মাথা নোয়াবেন না। সেই সঙ্গে কয়লা পাচার বা গোরু পাচারের কেলেঙ্কারিতে দায় ঠেললেন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে। তাঁর দাবি, গোরু যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যায়, তাহলে বিএসএফ কী করে? এই বিষয়টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, এই সব কেলেঙ্কারিকে হোম মিনিস্ট্রি স্ক্যাম বলা উচিত।জানা গিয়েছে, এ দিন থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে সেটি কার। অভিষেক সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। ওই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন। সাড়ে চার ঘণ্টা ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক ঘণ্টার লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে প্রবর্তন ভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করেছে। তবে রুজিরা যাবেন না বলে জানিয়েছেন অভিষেক।তবে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, কী এই কয়লা কেলেঙ্কারি? কী এই গোরু পাচার কেলেঙ্কারি? তাঁর দাবি, গোরু কোনও ছোট কীট নয়, একটা বড়সড় প্রাণী। তাই গোরু যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে যায়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে বিএসএফ কী করছে? আর বিএসএফ রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। কয়লাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, এগুলোকে হোম মিনিস্ট্রি স্ক্যাম বলা উচিৎ।জেরায় অভিষেকের থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তা তিনি জোগাড় করে দিয়ে দেবেন বলে বেরিয়ে এসে জানালেন অভিষেক। এর পরেই নাম না করে বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ইডি, সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আমি অন্য মেটিরিয়াল। এ সব যত করবে, আমি তত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব, তত নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকব।পাশাপাশিই, অভিষেক বলেন, বিচারব্যবস্থার উপর আমি আস্থাশীল। আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতাই করছি। ওঁরা ওঁদের কাজ করছে। আবার ডাকলে আবার আসব। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ, প্রমাণ রয়েছে, তাঁদের কজনকে ডাকছে ইডি, সিবিআই। যাঁদের বিরুদ্ধে সারদার কর্ণধার লিখিত অভিযোগ করেছে, যাঁদের কাগড়ে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে না? আমি আজ বিরোধী দলে আছি বলেই আমাকে ডাকা হচ্ছে। যাঁরা বিজেপি করেন, তাঁদের ডাকা হবে না। এ সব ধাপ্পাবাজি বেশি দিন চলবে না।

মার্চ ২১, ২০২২
দেশ

ইডি-র সদর দপ্তরে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লিতে ইডি-র সদর দপ্তরে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১১টার কিছু আগে ইডি-র দপ্তরে হাজির হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিছুক্ষণর মধ্যেই অভিষেককে জেরা করার কথা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।সোমবার অবশ্য ইডি-র দপ্তরে যাওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে দিল্লিতে ডেকে জেরা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। তবে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা গৃহীত হয়নি। এরপরই ইডি-র দপ্তরের উদ্দেশে রওনা হন অভিষেক। কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, কয়লা-কাণ্ডে নতুন তথ্য প্রমাণও হাতে এসেছ ইডি-র। দুটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নজর রয়েছে তাদের। অভিষেককে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।উল্লেখ্য, দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ইডি-র তলবে সাড়া দিতে রবিবারই সস্ত্রীক দিল্লিতে পৌঁছন অভিষেক। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই অভিষেক জানিয়ে যান তিনি প্রয়োজনে ইডি-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যাবেন।

মার্চ ২১, ২০২২
কলকাতা

কয়লাকাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে

কয়লাকাণ্ডে ফের মলয় ঘটককে তলব। ৮ ফেব্রুয়ারি তলব করেছে ইডি। ২ ফেব্রুয়ারির পর ৮ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দেওয়ার জন্য ফের নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তারই ভিত্তিতে তাঁকে সাক্ষী হিসাবে তলব করা হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। কোভিড পরিস্থিতির কথা জানিয়ে তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দেননি। আবারও নোটিস দিয়ে তাঁকে ৮ ফেব্রুয়ারি তলব করা হল। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। যেহেতু ইডির সদর দপ্তর দিল্লিতে কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্ত চলছে, তাই সেখানেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।একেবারে পুরভোটের মুখে ইডির এই পদক্ষেপ অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে শাসকশিবিরে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। ইডির নোটিস পাওয়ার পর রাজ্যের আইনমন্ত্রী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন? সেটাই দেখার।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
কলকাতা

Coal Scam: কয়লা পাচার-কাণ্ডে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই

কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরই বৃহস্পতিবার বিকাশকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই।সিবিআই সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বুধবার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল বিকাশকে। আপাতত সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি। হাসপাতাল থেকে বিকাশকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত বিকাশের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল। সিবিআই আধিকারিকেরা আদালতে জানিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার মিথ্যে কারণ দেখিয়ে জামিন পেয়েছিলেন বিকাশ। এর পর বিকাশের আবেদন খারিজ করে তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Coal Scam-CBI arrest: কয়লা-কাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেপ্তার লালা-ঘনিষ্ঠ ৪

কয়লা-কাণ্ডে রাজ্যে এই প্রথম গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র। সোমবার ওই দুর্নীতি মামলায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ধৃতেরা সকলেই কয়লা মাফিয়া বলে অভিযোগ।সিবিআই কয়লা-কাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে এই প্রথম গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটল। সোমবার জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দ, গুরুপদ মণ্ডল এবং নীরদ মণ্ডল নামে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, কয়লাপাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সহযোগী হিসাবেই কাজ করত ওই চার জন। তদন্তকারীদের ধারণা, ধৃতেরা বহু দিন ধরেই ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের দায়িত্ব ছিল মূলত পরিত্যক্ত খাদান থেকে কয়লা তোলা এবং তা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো। তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরের পাশাপাশি প্রভাবশালী কেউ জড়িয়ে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের থেকে বহু তথ্য মিলবে বলেই সিবিআইয়ের ধারণা।আরও পড়ুনঃ কৃষি আইনের বিরোধিতায় পালিত হচ্ছে ভারত বনধ, প্রভাব পড়েছে রাজ্যেও মঙ্গলবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ধৃতদের তোলা হবে। ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। ওই কাণ্ডের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও। প্রায় এক বছর হতে চলল কয়লাকাণ্ডের তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে সিবিআই। তবে এতদিন ঢেলে তদন্ত করলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এই প্রথম কয়লাকাণ্ডে গ্রেপ্তারি। তাও একই সঙ্গে চারজন। অভিযোগ, প্রত্যেকে লালার সিন্ডিকেটে যুক্ত। অর্থাৎ, কয়লা কোথায় পাচার করা হবে। কত টাকায় রফা হবে, কে কী ভাবে কয়লার টাকা দেবেন বা নেবেন সবটাই নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ধৃতদের। সিন্ডিকেটের একেবারে শীর্ষ পদে ছিলেন এই জয়দেব, নীরদ, নারায়ণ, গুরুপদ। অভিযোগ, শুধু সিন্ডিকেটই নয়, লালার আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন চারজন। মূলত, এই ব্যবসায় কয়লা পাচারের টাকা খাটানো হতো বলে অভিযোগ। সেই ব্যবসায় ডিরেক্টর পদে নাম রয়েছে চারজনের। সিবিআই এর আগেও বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাঁদের। কোনও বারই সন্তোষজনক জবাব পায়নি।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
কলকাতা

Abhishek-Dilip: 'অভিষেককে কলকাতায় ডাকলে দলীয় কর্মীরা ঢিল মারবে'

কলকাতায় কার্যালয় থাকা সত্বেও কয়লাকাণ্ডে বার বার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই নিয়ে কেন্ত্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা। তাঁদের দাবি, আইন মেনে কলকাতাতেই ডাকা হোক তাঁদের। এদিকে দিল্লিতে সস্ত্রীক অভিষেককে তলব নিয়ে যুক্তি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, কলকাতায় ডাকা হলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাধা দেব। তাই যেখানে নিরাপদ সেখানেই ডাকা হবে।আরও পড়ুনঃ ৫০০ টাকা পেতে গিয়ে অ্যাকাউন্ট থেক উধাও হল ৫ হাজার টাকা!শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখানে ডাকলে তো ওদের কর্মীরা এসে ঘেরাও করবে, ঢিল মারবে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দেবেন। এর আগেও অন্য মামলায় ভিন রাজ্যে ডেকে জেরা করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। তাই যেখানে নিরাপদ মনে হবে সেখানেই ডাকা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে হওয়ার মামলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বম্বে হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে তাঁদের গুজরাত থেকে সেখানে ডাকা হয়েছে। আমরা গিয়েছি। অশান্তি করিনি। আমাদের আইনের উপর আস্থা ছিল। তাঁর কথায়, আইনের আশ্রয় নিয়ে আমাদের নেতারা সোনার মত চকচকে হয়ে বেরিয়ে এসেছে। অভিষেকের এই ইস্যুতে হাইকোর্টে যাওয়াকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, আমার মনে হয় না এইভাবে বাঁচা যাবে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে শহরের একাধিক জায়গায় ইডি হানা

কয়লাকাণ্ডে শনিবার সকালে আচমকা শহরের দুটি জায়গায় হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা। এ দিন দুই সংস্থার অফিসে যান তাঁরা। ওই দুই সংস্থার সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগ ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। জানা যাচ্ছে, ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা যেত অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে।বিধানসভা নির্বাচনের কিছু আগেই সামনে আসে কয়লা-কেলেঙ্কারি। এরপর তদন্ত এগোলে উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালীর নাম। শাসক দলের সঙ্গে অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। ক্রমশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকদের নামও উঠে আসে এই মামলায়। এবার সেই কেলেঙ্কারির তদন্তে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আরও পড়ুনঃ বিধানসভার গোপন সুড়ঙ্গে লুকিয়ে অজানা ইতিহাসের হাতছানিজানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ইডির তিনটি দল শহরে তল্লাশি চালায়। মল্লিক বাজার ও ডালহৌসির ওই দুই সংস্থার অফিসে গিয়েছেন আধিকারিকেরা। ওই দলে দিল্লি থেকে আসা অফিসারেরাও রয়েছেন বলে খবর। অফিসে হানা দিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেরতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একটি স্টিল কোম্পানির অফিস ও অন্যটি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কর্মীদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। সংস্থার ডিরেক্টরদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই আধিকারিকদের দল অন্য জায়গায় তল্লাশিতে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। আগেই এই কয়লা-কাণ্ডে ডাক পড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরই মধ্যে তলব করা হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে খবর। সকাল ১১ টায় তাঁকে রাজধানীর ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই সংক্রান্ত কোনও নোটিস পাননি।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: এজেন্সি লেলিয়ে না দিয়ে, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার হুংকার মমতার

শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর এদিন সকালেই, কয়লা-কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর টিএমসিপি-র মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠেই এই নিয়ে সরাসরি আক্রমণের পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দিল্লি আমাদের সঙ্গে না পেরেই কেন্দ্রীয় সংস্থা লেলিয়ে দেয়। কয়লা দুর্নীতি ও অভিষেকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই তিনি ইডি-র নোটিস নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দেন।টিএমসিপি-র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে এ দিন মমতা বলেন, ক্ষমতায় এসে আমাদের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গিয়েছে। যেটুকু কাজ বিরোধী দলে আমাদের ছিল, তার থেকে এখন কাজ বেড়ে গিয়েছে। আমরা কখনও দমে যাইনি। মানুষের কাজ করাই আমাদের প্রধান কাজ। তাই দিল্লি যখন আমাদের সঙ্গে রাজনীতিকে পারে না, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার তখন এজেন্সি লেলিয়ে দেয়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের বিস্ফোরক রিপোর্ট নিয়েও এ দিন কটাক্ষ করেছেন মমতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, আজকাল লজ্জা লাগে আমার। আমি মানবাধিকার কমিশনকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান জানাই। এই মানবাধিক কমিশনের জন্যই আমি ২১ দিন ধরনা করেছিলাম রাস্তায়।আরও পড়ুনঃ শহরে কৈলাস খের, গানে গানে কাটল সন্ধ্যামুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের পরবর্তী সময় ফের একবার কয়লা কাণ্ডের কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, কয়লা চুরির জন্য শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? তৃণমূলের দায়িত্বে কয়লা নয়। কয়লা কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্বে। মাথায় রেখো, এটা রাজ্যের দপ্তর নয়। তোমার দপ্তর। একটা ছোট্ট নেংটি ইঁদুর বের করেছো না পকেট থেকে, ওই ইঁদুর তোমার পকেট ফাঁকা করে দিয়েছে। ক্ষমতা থাকলে অভিষেকের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই চালাও। এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি কখনও দেখিনি। আমরা এমন রাজনীতি করি না। তোমার দলের বিরুদ্ধে কতটা পদক্ষেপ করেছ? উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন পাঠিয়েছ?আরও পড়ুনঃ ধমকি দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না, শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার কয়লা মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে এ রাজ্যে নয়, তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। সূত্রের খবর, অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকেও ডেকে পাঠিয়েছে আর্থিক তছরুপ তদন্তকারী এই গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে রুজিরাকে। তদন্তের সহযোগিতারা জন্য অভিষেককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

আগস্ট ২৮, ২০২১
রাজ্য

ED Summons: কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডি-র

কয়লা-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১ সেপ্টেম্বর রুজিরা এবং ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ইডি-র অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি সংবাদসংস্থা এএনআই-র।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানকে বিশেষ স্বীকৃতি ভারতীয় ডাক বিভাগেরসংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পিনকন কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। বিধানসভা ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোনকেও। এবার নোটিস পাঠিয়ে দিল্লির অফিসে ডেকে পাঠানো হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রীকে। একে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।ইডি সূত্রে দাবি, এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে তৃতীয় নোটিস পাঠানো হল। কয়লা মামলার তদন্তে তাঁর সহযোগিতা চেয়ে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এই আগে কয়লাকাণ্ডে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল অভিষেকের আরও এক আত্মীয়কে। যদিও কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে এখনও পর্যন্ত সিবিআই বা ইডি-র মুখোমুখি হতে হয়নি।

আগস্ট ২৮, ২০২১
রাজ্য

Cow-Coal Smuggling: আরও বিপাকে বিনয় মিশ্র, হাইকোর্টে খারিজ সব আবেদন

গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই আর্জি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিংপিন বিনয় মিশ্র। কিন্তু সেই আর্জি আজ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত রবিবার সিবিআই বিনয়ের এই আবেদন খারিজ করে দেয়। আজ সিবিআই-এর সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল আদালত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাত থেকে বহুদূর চলে গিয়েছেন গোরু ও কয়লা পাচারকারীর মাথা বিনয় মিশ্র। আপাতত প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুয়াতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বিনয়। আরও পড়ুনঃ খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ কর্তাদের মানবতার দিশা দেখালেন ইব্রাহিম ও তারাপদতাঁকে সিবিআই-এর তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, ভারতে এসে যথারীতি সময়ে হাজিরা দিতে। শুধুই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে গ্রেপ্তার করা হবে না। তখন বিনয় শর্ত দেন, তিনি ভারতে এখন আসবেন না, যা জিজ্ঞাসা করার যেন ভার্চুয়ালি করা হয় সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন। কিন্তু সিবিআই সেই আর্জি খারিজ করে দেয় ও বিনয়ের আর কোনও দাবি না মানার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মর্মে আদালতের কাছে আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। নিজের মতো করেই তদন্ত করতে পারবে তারা। অর্থাৎ এবার সিবিআই হয়ত বিনয়কে গ্রেপ্তার করতেও পারে। অপরদিকে আজই নিজাম প্যালেসে বিনয়ের বাবা-মায়ের ভুয়ো কোম্পানি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও আসেননি তারা। বেলা ১১ টায় হাজিরার সময় থাকলেও এখনও পাত্তা নেই বিনয়ের বাবার। আইনজীবি মহলের ধারণা বিনয়কে এখনই গ্রেপ্তার করা সিবিআই-এর তরফে অসম্ভব। কারণ সিবিআই ভালোই জানে ভানুয়াতুয়ার সঙ্গে ভারতের পণবন্দির চুক্তি নেই। আর থাকলেও এই করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত অসম্ভব। আবার বিনয়ের কাছে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে, সিবিআই-এর তোড়জোড়ের খবর পেলেই হয়ত অন্য রাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে একেবারেই গা ঢাকা দিতে পারে যেটা গোয়েন্দারা কখনই চাইবেন না।

জুলাই ২৮, ২০২১
কলকাতা

লালা ঘনিষ্ঠ অমিত আগরওয়ালকে সিবিআই তলব

কয়লাপাচার কাণ্ডে একই সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি ও সিবিআই। এবার সিবিআই তলব করল লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালকে। অবৈধভাবে কয়লা পাচরের ঘটনায় একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এবার লালার কাছে কয়লা কিনতেন এমন এক ব্যবসায়ীকে তলব করা হল।সোমবার নিজাম প্যালেসে কয়লাপাচার কাণ্ডে তলব করা হয়েছে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা স্টিল প্লান্টের মালিক অমিত আগরওয়ালকে। লালার অবৈধ কয়লার বেশিরভাগই এই ব্যবসায়ী কিনে তাঁর স্টিল প্লান্টে ব্যবহার করতেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি লালার কয়লার অবৈধ কাজকর্ম চালানোর জন্য সমাজবিরোধীদের আশ্রয়ও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে পাঁচটি কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এগুলিতেই কয়লার যাবতীয় হিসেব লুকিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।এছাড়া আজই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে অন্ডাল থাকার প্রাক্তন আইসি পার্থ ঘোষকেও। এই অন্ডাল থানা এলাকার মধ্যেই পড়ে নিউ কাজোরা এলাকা। আর সেখানেই রয়েছে ইসিএলের লিজপ্রাপ্ত বেশিরভাগ কয়লাখনি। যেখান থেকে সব থেকে বেশি পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কয়লাকাণ্ডে সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি। চলছে জোর তল্লাশি। তদন্তে নেমে একাধিক নাম হাতে উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের নাম। যদিও এই বিনয় এখন পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে ওপেন ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তবে বিনয়কে নাগালে না পেলেও ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাঁর ভাই বিকাশকে জেরা করেছে সিবিআই। তাঁকে জেরা করেই জানা গিয়েছে, কয়লাপাচারের মূল চক্রী অনুপ মাজি ওরফে লালার ব্যবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। প্রভাবশালীদের পিছনে ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এ দিকে, আজ মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করা হয়েছে রাজ্যের আরও এক আইএএস দ্বিবেদীকে।

মার্চ ২২, ২০২১
কলকাতা

কয়লা-কাণ্ডে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে তলব সিবিআইয়ের

কয়লা পাচার-কাণ্ডে এবার অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালকে সমন পাঠাল সিবিআই। আগামী সোমবার তাঁকে কলকাতায় তদন্তকারী সংস্থাটির নিজাম প্যালেসের দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।সূত্রের খবর, কয়লা পাচার-কাণ্ডে শুরু থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন লৌহ ইস্পাত শিল্পগোষ্ঠীর মালিক অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়াল। এই দুই ভাই কুলটির বরাকরের আদি বাসিন্দা। তাঁদের ঝাড়খণ্ড, দুর্গাপুর, কাঁকসা, বাঁকুড়ায় ১৩-১৪টি কারখানা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই লৌহ ইস্পাত কারখানা চালাতেই লালার কাছে থেকে অবৈধভাবে কয়লা কিনতেন তাঁরা বলে অভিযোগ। অনুপ মাঝি ওরফে লালা কাকে পাচার করত কয়লা? কে কিনত ওই বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা? সেই ক্রেতাদের হদিশ পেতে গতকাল বা মঙ্গলবার রাজ্যে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি-সহ রাজ্যের পাঁচ এলাকায় তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। গতকাল ১০ জন তদন্তকারী আধিকারিক অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়ালেরর বরাকরের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে দুজনের খোঁজ মেলেনি। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ওই আধিকারিকরা। এদিকে শেক্সপিয়র সরণীতে তাদের অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।প্রসঙ্গত, গতকাল কয়লা ও গোরু পাচার-কাণ্ডে বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

মার্চ ১৭, ২০২১
রাজ্য

কয়লা-কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি

কয়লা-কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি। সিআইডির জালে রণধীর সিং নামের এক ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারচক্রের প্রধান অনুপ মাজি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীকে অন্ডাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখে সিআইডির ডিআইজি অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি দল দুর্গাপুর আসানসোলের যে সমস্ত জায়গায় অবৈধভাবে কয়লা তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ সেসব জায়গায় তদন্ত চালায়। সেসময় অন্ডালের কাজোরা এরিয়ার লছিপুর, হরিশপুর, তালডাঙা, জে কে রোপওয়ে, বক্তারনগর এলাকাগুলোতে অবৈধ খাদানগুলো পরিদর্শন করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন সিআইডির আধিকারিকরা। সিআইডি ডিআইজি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন সময়ে বেআইনি কয়লা পাচার ও চুরির অভিযোগ করেছিল ইসিএল। সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই অবৈধ কয়লা কারবারের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।এবার তার মাসখানেক পরেই অন্ডাল থানা এলাকার কাজোরা এরিয়ায় তাঁর বাড়ি থেকে অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠ রণধীর সিংকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি বলে সূত্রের খবর। আজ শনিবার রণধীরকে আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে সিআইডি হেপাজতে নিয়ে তদন্তের গতি দ্রুত করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। বাম আমল থেকেই অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা পাচারে জড়িত রণধীর বলে অভিযোগ। কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। বাংলায় পালাবদলের পর অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন রণধীর। পাশাপাশি, তিনি জিতেন্দ্র তিওয়ারির অনুগামী বলেও এলাকায় পরিচিত।

মার্চ ১৩, ২০২১
কলকাতা

কয়লাকাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ লালা

কয়লাকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে সে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।এখনও তার নাগাল পাননি তদন্তকারীরা। কয়লাকাণ্ডের তদন্তে কার্যত সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। তার বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কয়লা কাণ্ডে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিবিআই । তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে, যে জায়গা রেলের আওতাধীন নয়, সেখানে তল্লাশি করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি বাধ্যতামূলক। যদিও রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় থাকা কোনও ব্যক্তিকে যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সমন পাঠানোর জন্য অনুমতি নিতে হবে না।এদিকে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের পর পাল্টা তৎপরতা শুরু হয় সিবিআই-র অন্দরেও। মামলা গডায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি সিবিআইকে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত তল্লাশি অনুমতি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। সঙ্গে তার বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের আবেদনও।

মার্চ ১০, ২০২১
কলকাতা

কবে সিবিআইয়ের মুখোমুখি? কী জানালেন রুজিরা

সিবিআই নোটিসের জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। সোমবার সকালেই তিনি সিবিআই দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানালেন যে মঙ্গলবার দেখা করবেন। এও জানান যে, মঙ্গলবার ১১ টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হবেন। সূত্রের খবর, সোমবার বেলার দিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছেন রুজিরা। জানিয়েছেন, রবিবার তাঁরা যখন নোটিস দিতে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন, সেসময় তিনি বাড়ি ছিলেন না। তবে নোটিস পেয়েছেন। সেইমতো সহযোগিতা করতে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে চান।উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই রবিবার অভিষেকের শান্তিনিকেতনে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নোটিস নিয়ে যায় সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, দ্রুত নোটিসের জবাব দিতে হবে রুজিরাকে। তার জন্য নিজেদের ফোন নম্বরও অভিষেকের বাড়িতে রেখে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে তাঁকে সিবিআই দপ্তরে তলব করা হয়নি। শুধু তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা। সাক্ষী হিসেবে রুজিরার কাছে তাঁরা কিছু জানতে চান বলে সূত্রের খবর। যদিও কয়লা কাণ্ডে কেন তাঁকে নোটিস দেওয়া হল কিংবা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন, তা কিছুই বুঝতে পারছেন না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন রুজিরা। সিবিআই সূত্রে খবর, যদি সোমবার রুজিরার তরফে কোনও সাড়া না মিলত, তাহলে দ্বিতীয় নোটিস দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সিবিআইয়ের।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal